নোটিশ বোর্ড
- জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের বেতন/টিউশন ফি মওকুফ সংক্রান্ত।
- আরবি ও ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি ক্লাবে নাম রেজিস্ট্রেশন করণ সংক্রান্ত।
- ফাজিল (স্নাতক) পাস ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ পরীক্ষা-২০২৩ এর ফরম পূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
- উপবৃত্তির তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত।
- ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত।
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের অত্র প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
সভাপতির বাণী
মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনি ভাবেই ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্বপাশে সালন্দর মৌজায় এলাকার ধর্মপ্রাণ ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হয়ে ১৯৪৮ সালের ১লা জানুয়ারি যোগ্য আলেমে দ্বীন ও সুনাগরিক তৈরীর উদ্দ্যেশ্যে প্রতিষ্ঠা করনে সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, হতে দাখিল, ১৯৬৩ সালে আলিম, ১৯৭১ সালে ফাজিল মঞ্জুরী লাভ করে। ১৯৭২ সালে এলাকার কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন জনাব এ. কে. এম তাজিমুদ্দীন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন ও মাদ্রাসা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি আলিম ও ফাজিল জামায়াত খোলার ব্যবস্থা করেন এবং অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়কালে মাদ্রাসার প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। বর্তমানে সুবিস্তৃত ক্যাম্পাস, আমবাগানসহ ফলজ ও বনজ বৃক্ষাদি দ্বারা ক্যাম্পাস সবুজায়ন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ছাত্রাবাস তাঁর পরিশ্রমের ফসল। পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা তমিজ উদ্দীন আহাম্মদ ১৯৮৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এবং তাঁর হাতেই মাদ্রাসাটি কামিল মানে উন্নীত হয়। ১৯৮৬ সালে কামিল ফিকহ্, ১৯৯১ সালে কামিল হাদিস ও ১৯৯৪ সালে তাফসীর মঞ্জুরী লাভ করে। তাঁর সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মূল্যবান কিতাবাদি সংগ্রহ করে লাইব্রেরী সমৃদ্ধ করা হয়। তাঁর অবসর গ্রহণের পর ২০০২ সালে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ জনাব মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর সময়কালে মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়। নূরানী শাখা ও মাদ্রাসা মার্কেট তারই পরিশ্রমের ফল। তাঁর অবসর গ্রহণের পর ২০২১ সালে মাওলানা মোঃ আবুল হাসান (ত্ব-হা) অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন এবং মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করেন। আমিন!!!
অধ্যক্ষের বাণী
১৯৪৮সালে প্রতিষ্ঠিত সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।